নামাজ না পড়ার ১৫ টি শাস্তি জেনে নিন

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ প্রতিটি মুসলমানের উপর ফরজ। ঈমান আনার পর সর্বপ্রথম হলো নামাজ। নামাজ ইসলামের অন্যতম একটি ইবাদত।নামাজ না পড়ার ১৫ টি শাস্তি?

পবিত্র আল কোরআনের প্রায় শতবার নামাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলিম মাত্রই প্রত্যেককে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে।

নামাজ যে অবস্থায় সম্ভব সে অবস্থায় পড়তে হবে। দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে কিংবা ইশারায়। নামাজ কোনভাবেই ছাড়া যাবে না।

নামাজ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেন, “নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।

নামাজ না পড়ার ১৫ টি শাস্তি

নামাজ যারা না পড়ে তাদের জন্য আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন ১৫ টি শাস্তি নির্ধারিত করে রেখেছেন।

নামাজ না পড়ার ১৫ টি শাস্তি

১৫ টি শাস্তির মধ্যে ছয়টি দুনিয়াতে, তিনটি মৃত্যুর সময়, তিনটি কবরে এবং হাশরের মধ্যে বাকি তিনটি দেওয়া হবে।

বেনামাজিদের দুনিয়াতে যে শাস্তি দেওয়া হবে তা হলো

  • বেনামাজির জীবনের কোনো কাজ কর্মে বরকত থাকবে না।
  • আল্লাহ তার চেহারা হতে নেক তুলে নিবেন।
  • সে যতই ভালো কাজ করুক না কেন তার সাওয়াব পাবে না।
  • বেনামাজির দোয়া আল্লাহর কাছে কবুল হবে না।
  • আল্লাহর সমস্ত ফেরেশতা তার উপর অসম্ভব থাকেন।
  • ইসলামের সকল নেয়ামত থেকে বেনামাজি কে বঞ্চিত করা হবে।

মৃত্যুর সময় যে তিনটি আযাব দেওয়া হবে তা হলো

  • অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করবে।
  • ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যুর বরণ করবে।
  • মৃত্যুর কালে তার এত পিপাসা পাবে যে, তার ইচ্ছা করবে পৃথিবীর সমস্ত পানি পান করে ফেলতে।

বেনামাজিদের কবরের মধ্যে যে তিনটি আযাজ দেওয়া হবে তা হলো

  • তার কবর সংকীর্ণ হবে যে তার এক পাশের হাড় অপর মিলিত হয়ে চূর্ণবিচূর্ণ হবে।
  • তার কবরে দিন রাত সব সময় আগুন জ্বলবে।
  • আল্লাহ তার কবরে এক জন আযাবের ফেরেশতা নিযুক্ত করবেন। তার হাতে লোহার মুগুর থাকবে। সে মৃত ব্যক্তিকে বলবে কেন নামাজ পড়ো নি। আজ নামাজ না পড়ার ফল ভোগ কর।
  • এই বলে ফজর থেকে যোহর, যোহর থেকে আসর, আসর থেকে মাগরিব, মাগরিব থেকে এশা, এশা থেকে ফজর লোহার মুগুর দ্বারা আগাত করবে।

বেনামাজিদের বাকি তিনটি শাস্তি দেওয়া হবে হাশরের মাঠে কিয়ামতের দিন।

আমাদের মধ্যে যে বা যারা মুসলমান ভাই ও বোনেরা আছেন আসুন সকলে নিয়মিত নামাজ আদায় করি। অপরকে নামাজের জন্য উৎসাহ দেই।

শুধু মাত্র নামাজের মাধ্যমে দুনিয়ায় ও আখেরাতে শান্তি পাওয়া যাবে। নামাজ ব্যতীত দুনিয়ায় ও আখেরাতে কোনো জায়গায় মুক্তি নেই।