নামাজ নিয়ে হাদিস জেনে নিন

ইসলামের প্রথম ইবাদত হচ্ছে নামাজ। নামাজের বিষয়ে পবিত্র আল-কুরআনে দিকনির্দেশনা রয়েছে ৮২ বার। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি নামাজ নিয়ে হাদিস। নামাজ নিয়ে হাদিস?

নামাজ মানেই হলো আল্লাহকে স্মরণ করা। আল্লাহ তায়ালা আল কোরআনে বলেছেন, “তোমরা আমার স্মরণোদ্দেশ্যে কায়েম করো”।

ইসলামের মূল পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ অন্যতম। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “ইসলাম পাঁচটি খুটির উপর প্রতিষ্ঠিত”।

পাঁচটি খুটি হলো

  1. আল্লাহ এক তার কোন শরিক নেই এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।
  2. নামাজ কায়েম করা।
  3. যাকাত প্রদান করা।
  4. হজ করা।
  5. রোজা রাখা।

নামাজ নিয়ে হাদিস

পবিত্র আল কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কর্ম থেকে বিরত রাখে। হাদীস শরীফে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, হৃদয়ের উপস্থিতি ব্যতীত নামাজ প্রকৃত নামাজ হয় না।

মুমিনদের পরিচয় পবিত্র আল-কুরআনের এসেছে “ওই সকল বিশ্বাসীগণ সফল, যারা তাদের নামাজে আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়”

নামাজ নিয়ে হাদিস

নামাজ নিয়ে হাদিস

  • হজরত উম্মি ফারওয়াহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, সবচেয়ে  মর্যাদাবান ‘আমল কোনটি? তিনি বলেন, ওয়াক্তের প্রারম্ভে সালাত আদায় করা। (সুনানু আবী দাঊদ: ৪২৬, জামি’উত তিরমিযী: ১৭০)
  • হযরত আবূ হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, মুনাফিকদের কাছে ফজর ও এশা অপেক্ষা অধিক ভারী কোনো সালাত নেই। আর যদি তারা জানত যে, এতদুভয়ের মধ্যে কি ফজিলত রয়েছে, তাহলে অবশ্যই তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এর জন্যে আসত।  (সহীহ বুখারী: ৬৫৭, সহীহ মুসলিম: ৬৫১)
  • হযরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, বান্দা আনুগত্য ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত ত্যাগ করা। (সহীহ মুসলিম:৮২)
  • হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের অভিমত কী, যদি তোমাদের কারো দরজায় একটি পানির নহর থাকে যাতে সে দৈনিক পাঁচ বার গোসল করে, তার শরীরে কি কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকতে পারে? সাহাবীগণ উত্তরে বলেন, তার শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে না। রাসূল (সা.) বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উদাহরণ এরূপই। বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা তার অপরাধসমূহ মিটিয়ে দেন। (সহীহ বুখারী: ৫২৮, সহীহ মুসলিম: ৬৬৭)
  • হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমার সালাত থেকে অপর জুমার সালাত এবং এক রমযান মাসের রোজা হতে অপর রমজান মাসের রোজা সে সব গুনাহের জন্যে কাফফারা হয়, যা এর মধ্যবর্তী সময়ে হয়ে থাকে, যখন কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা হয়। (সহীহ মুসলিম:২৩৩)
  • হযরত আমর ইবনে শুয়াইব (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি তার পিতা হতে, তার পিতা তার দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, নামাজের জন্যে আদেশ কর, যখন তারা সাত বছর বয়সে পৌঁছাবে। আর যখন তারা দশ বছর বয়সে পৌঁছবে, তখন তাদেরকে সালাতের জন্যে প্রহার কর এবং তাদের শোয়ার স্থান পৃথক করে দাও। (সুনানু আবী দাঊদ: ৪৯৫)

এই হলো নামাজ সম্পর্কিত হাদিস। যা রাসূল (সাঃ) বলেছেন।