নামাজ শিক্ষা? জেনে নিন

আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমার নিয়ে এসেছি নামাজ শিক্ষা?

বাংলায় নামাজ শিক্ষা নামাজের প্রয়োজনীয়তা নামাজের বিষয়বস্তু সকল বিষয় তুলে ধরা হয়েছে এই আর্টিকেলে।

মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন আমাদের সৃষ্টি করেছে ইবাদত বন্দেগী করার উদ্দেশ্যে সেই ইবাদতের মধ্যে একটি ইবাদত হলো নামাজ।

তাই নামাজ শিক্ষা আমাদের গ্রহণ করতেই হবে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেছেন, ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের উপর স্থাপিত, সাক্ষ্য প্রদান করে যে আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। নামাজ প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত দেওয়া, রমজান মাসের রোজা পালন করা। সক্ষম ব্যক্তির জন্য হজ পালন করা।

নামাজ শিক্ষা

নামাজ শিক্ষা?

নামাজের মোট ১৩ টি ফরজের মধ্যে বাহিরের ফরজ হলো সাতটি

  • শরীর পাক।
  • কাপড় পাক।
  • নামাজের জায়গা পাক।
  • সতর ঢাকা।
  • নামাজের সময় হওয়া।
  • কেবলামুখী হওয়া।
  • নিয়ত করা।

আর নামাজের ভেতরের ৬ টি ফরজ হলো

  • তাকবীরে তাহরীমা বলা।
  • দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা।
  • নামাজে কিরাত তেলাওয়াত করা।
  • রুকু করা।
  • সিজদা করাও
  • শেষ বৈঠক।

নামাজের ওয়াজিব সমূহ গুলো হলো ১৪ টি

  • সূরা ফাতিহা পড়া।
  • সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যেকোনো একটি সূরা তিলাওয়াত করা।
  • রুকু ও সিজদায় এক তাসবিহ পরিমাণ সময় দেওয়া।
  • রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
  • তিন রাকাত অথবা চার রাকাত নামাজে দুই রাকাতের পরে বসা।
  • উভয় বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করা।
  • ফজর যোহর এশা ও জুমার ফরজ নামাজ ও দুই ঈদের নামাজে সূরা উচ্চস্বরে ও যোহর আসরের নামাজে সূরা নীরবে পাঠ করা।
  • বিতরের নামাজে দোয়ায়ে কুনুত পাঠ করা।
  • দুই ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা।
  • চার রাকাত নামাজের প্রথম দুই রাকাতে কেরাত নির্দিষ্ট করা।
  • নামাজের ভেতরের ফরজ গুলো ধীরে সুস্থ্যে আদায় করা।
  • মুক্তাদিরগণেরা ইমাম সাহেবকে অনুসরণ করা।
  • সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা।
  • নামাজ পড়ার নিষিদ্ধ সময়
  • সূর্যোদয়ের সময়
  • দুপুরবেলা মাথার উপরে সূর্য থাকার সময়।
  • সূর্য অস্তের সময় কোন নামাজ পড়া যাবে না।
  • নামাজের যদি উক্ত ফরজ সমূহের মধ্যে কোন একটি বাদ পড়ে যায় তাহলে আপনাকে পূর্ণরায় নামাজ আদায় করতে হবে।

নামাজের সুন্নত সমূহ

  • তাকবীর বলে দুহাত কানের লতি পর্যন্ত উঠানো
  • হাতের আঙ্গুলগুলো পরস্পর পৃথক রাখা
  • ইমামের সঙ্গে নামাজ আরম্ভের সময় উচ্চস্বরে তাকবীর পড়া।
  • সানা পাঠ করা।
  • আউজুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ পড়া
  • সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর ইমাম ও মুক্তাদের গণের মৃদুস্বরে আমিন বলা।
  • পুরুষের জন্য নাভির নিচে ও নারীর জন্য ছিনার উপরে তাহরীম বাঁধা।
  • রুকুর তাকবীর বলা
  • রুকুর ভেতরে তিনবার, পাঁচবার অথবা সাতবার তাসবিহ পড়া।
  • রুকু হয়ে থেকে ওঠে হয়ে দাঁড়ানো
  • রুকু হতে ওঠার সময় ইমামের সামিআল্লাহুলিমান হামিদা ও মুক্তাদীগণকে রাব্বানালাকাল হামদ বলা।
  • সিজদায় গিয়ে দু হাঁটু ও তাকবীর বলে বসা
  • সিজদার তাসবিহ পড়া
  • পুরুষের জন্য সিজদা হতে উঠে ডান পা খাড়া আছে বাম পায়ের উপর বসা।
  • সিজদা থেকে উঠে তাসবিহ পরিমাণ বসা।
  • দুরুদ শরীফ পাঠ করা।
  • দোয়া মাসুরা পড়া।
  • ডানে বামে সালাম ফিরানো।

নামাজের মুস্তাহাবসমূহ নিম্নে দেওয়া হলো

  • হাঁচি এলে মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করা, মুখ খুলে গেলে তাড়ানো অবস্থায় ডান হাত দিয়ে অথবা বাম হাতের পিঠ দিয়ে মুখ দেখা
  • কাশি যতদূর সম্ভব ঠেকিয়ে রাখা।
  • পুরুষ যদি চাদর প্রকৃতির কোন কিছু গায়ে দিয়ে থাকে তাহলে তাকবীরে তাকরীমার সময় চাদর থেকে হাত বের করা, মেয়েরা হাত বের না করে তাকবীরে তাকরীমার বলা।
  • দাঁড়ানো অবস্থায় সিজদার স্থানের দিকে, রুকু অবস্থায় দু পায়ের উপর, বসা অবস্থায় দুহাতের উপর ও সালাম ফেরানো অবস্থায় দু কাঁধের উপর নজর রাখা।
  • নামাজি ব্যক্তি একাকী নামাজ পড়লে রুকু এবং সিজদাতে তিনবার পাঁচবার অথবা সাতবার করে তাসবীহ পড়া।

নামাজ ভঙ্গের কারণ সমূহ

  • নামাজরত অবস্থায় কথা বললে।
  • নামাজের মধ্যে পানাহার করলে।
  • নামাজ অবস্থায় কাউকে সালাম দিলে।
  • সালামের উত্তর দিলে।
  • অনিচ্ছা শর্তে কাশি দিলে
  • নামাজের উহ আহ করে শব্দ করলে
  • দেখা কুরআন পড়লে
  • নামাজের মধ্যে উচ্চস্বরে হাসলে
  • নামাজের মধ্যে পার্থিক কিছু প্রার্থনা করলে।
  • নামাজের কোন ফরজ কাজ ত্যাগ করলে।
  • সতরের চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ খুলে রাখলে।
  • নামাজের মাধ্যমে কোন লেখা দেখে পড়লে।
  • কেবলার দিক হতে কোন অন্যদিকে সিনা ঘুরে গেলে

আরো নানা কারণে নামাজ ভঙ্গ হতে পারে।