ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম? জেনে নিন

অনিচ্ছাকৃত বা ভুল বশত কোনো কারণে কোনো ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারলে ঐ নামাজ পরবর্তীতে আদায় করাকে কাজা নামাজ বলে। ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম?

কাজা নামাজ দুই ধরনের

“ফাওয়ায়েতে কালীল”

“ফাওয়ায়েতে কাছির”

ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম?

ফজরের ফরজ নামাজ যদি কারও কাজা হয়ে যায়, তাহলে কি সুন্নতসহ চার রাকাত পড়তে হবে? নাকি শুধু ফরজ দুই রাকাত আদায় করলে হবে?

আজ এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা তা জানতে পারবেন।

এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলবো, কখনো নামাজ কাজা করা উচিৎ নয়। কারণ, আল্লাহ তা’আলার বিধানের প্রতি অলসতা প্রদর্শন বান্দার পক্ষ হতে কোনোভাবেই কাম্য নয়।

ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম

যদি আপনার কখনো কোনো বড় ধরনের সমস্যার কারণে নামাজ কাজা হয়ে যায়, তাহলে আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

ফজরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম?

যদি কারো কখনো কোনো অসুবিধার কারণে ফজরের নামাজ কাজা হয়ে যায়, তাহলে সূর্য উদিত হওয়ার পরপরই দুই রাকাত দুই রাকাত করে— মোট চার রাকাত নামাজ আদায় করে নেওয়া উচিত। অর্থাৎ দুই রাকাত সুন্নত, আর দুই রাকাত ফরজ।

কাজা নামাজের সময়

যেমন ধরুন- আপনার ফজরের ওয়াক্তের নামাজ কাজা হলো আদায়ের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট সময় নেই। নামাজের ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর যখনই নামাজের কথা স্মরণ হবে তখনই পড়ে নেয়া উত্তম।

যদি ভুলবশত কোনদিন নামাজ কাজা হয়ে যায় তাহলে এ নামাজ গ্রহণযোগ্য।

কিন্তু প্রায় সময় যদি অলসতা ও অবহেলার কারণে ফজরের নামাজ কাজা হয়ে যায়, তাহলে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।

আপনার মনে যদি আল্লাহর প্রতি ভয় থাকে আপনি যদি মন থেকে বিশ্বাস করেন, আল্লাহ আপনাকে ডাকছেন ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য এ নামাজ মিস হয়ে গেলে- আপনি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

যদি এ রকম চিন্তা আপনার মনে থাকে তাহলে আপনার কখনোই ফজরের নামাজ মিস হবে না ইনশাআল্লাহ।

এ জন্য একজন মুমিনের কখনোই ফজরের নামাজ বারবার কাজা হতে পারে না।