মাগরিবের নামাজের সময়

আজকের মাগরিবের নামাজের সময় হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে বুঝে নিতে চাইলে, নিচে থেকে তথ্যটি জেনে নিন। মাগরিবের নামাজের সময় নিচে তুলে ধরা হলো।

মাগরিবের নামাজের ওয়াক্ত শুরু
🌤 6:18 pm

প্রত্যেক জেলার আজকের নামাজের সময়সূচি

মাগরিবের নামাজ কয় রাকাত?

মাগরিবের নামাজের সর্বমোট রাকাত সংখ্যা হল ৭ । এক্ষেত্রে মাগরিবের নামাজে, ফরজ নামাজের রাকাত সংখ্যা হল ৩, সুন্নত নামাজের রাকাত সংখ্যা ২ এবং নফল নামাজের রাকাত সংখ্যা হল ২ ।

মূলত, আপনি যদি মাগরিবের নামাজ আদায় করেন তাহলে আপনাকে ৭ রাকাআত নামাজ আদায় করতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনি চাইলে প্রথমত মাগরিবের নামাজের তিন রাকাত ফরজ সালাত আদায় করে নিতে পারেন এবং তারপরে সুন্নত নামাজ এবং এর পরবর্তীতে নফল নামাজ আদায় করে নিতে পারেন।

মাগরিবের নামাজ পড়ার নিয়ম

আসরের নামাজ ফজরের নামাজ কিংবা জোহরের নামাজ সহ আরো অন্যান্য নামাজ গুলো যেভাবে আপনি পড়েন, ঠিক একই রকমভাবে মাগরিবের নামাজ কিভাবে আদায় করে নিবেন।

মাগরিবের নামাজের ফরজ নামাজের সংখ্যা হল তিন রাকাত। সেই তিন রাকাত অন্যান্য নামাজের নিয়মে পড়ে নিবেন।

অর্থাৎ প্রথম দুই রাকাত নামাজ পড়ার সময় সুরা ফাতিহার সাথে অন্য আরেকটি সূরা মিলিয়ে নেবেন এবং তৃতীয় রাকাতে ফাতিহার সাথে কোন সূরা মিলাতে হবে না।

এছাড়াও সুন্নত এবং ফরজ নামাজ পড়ার নিয়মে নামাজ আদায় করে নিতে হবে।

মাগরিবের নামাজের সময় নির্ধারণ

এছাড়াও কিছু জিনিসের উপর নির্ভর করে আপনি চাইলে মাগরিবের নামাজের সময় নির্ধারণ করতে পারেন কিংবা এভাবেই, নামাজ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ফকিহ সময় নির্ধারণ করেন।

সূর্য সম্পূর্ণরূপে অস্ত যাবার পর কিছু সময়ের মধ্যেই নামাজ আদায় করে নেয়া ভাল।

তবে সূর্যাস্তের পর হতে যতক্ষণ পর্যন্ত নিক্ষিপ্ত কোন তীরের পতিত হবার স্থান দৃষ্টিগোচর হয় অর্থাৎ গোঁধুলির রেশ বিরাজমান থাকা (পশ্চিম দিগন্তের লাল আভা অদৃশ্য হয়ে রাতের অন্ধকার ঘনিয়ে না আসা)পর্যন্ত নামাজ আদায় করে নেয়া যেতে পারে।

আপনি যদি উপরে উল্লেখিত আলামত গুলো দেখতে পারেন, তাহলে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিতে পারেন।

মাগরিবের নামাজের ফজিলত

মাগরিবের নামাজের অসংখ্য ফজিলত বিদ্যমান রয়েছে। মাগরিবের নামাজের কতটা গুরুত্ব রয়েছে এবং ফজিলত রয়েছে, সে সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য নিম্নলিখিত হাদীসটি যথেষ্ট।

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার উম্মত ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে অথবা মূল অবস্থায় থাকবে, যতদিন তারা মাগরিবের নামাজ আদায়ে তারকা উজ্জ্বল হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব না করবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪১৮)

উপরে উল্লেখিত হাদীস এটা স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে যে আপনি যদি মাগরিবের নামাজ আদায় করেন, তাহলে আপনি অবশ্যই কল্যাণের মধ্যে থাকবেন।

এছাড়াও এই নামাজে মাহাত্ম্য সম্পর্কে আরেকটু ধারণা নিতে চাইলে, নিম্নলিখিত হাদীসটি দিকে নজর করতে পারেন।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত- নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল এবং সন্ধ্যায় নামাজ আদায় করতে মসজিদে যায় এবং যতবার যায় আল্লাহ তায়ালা ততবারই তার জন্য জান্নাতের মধ্যে মেহমানদারির উপকরণ প্রস্তুত করেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৬২২)

উপরে উল্লেখিত হাদীসটি হল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর কাছ থেকে বর্ণিত সহি হাদিস। যা আপনি কখনোই দ্বিখণ্ডিত করতে পারবেন না। কিংবা পরিবর্তন-পরিমার্জন করতে পারবেন না।

মাগরিবের নামাজের সুন্নত এবং ফরজ নামাজের যথেষ্ট ফজিলত রয়েছে। যার কারণে, মাগরিবের নামাজের সময় যথাযথভাবে নামাজ পড়ে নেয়া বাঞ্ছনীয়।