সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে জেনে নিন

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা জানতে চান, সিগারেট খেলে নামাজ হবে কি না আজ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে সে সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরেছি। সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে?

আমরা সকলেই জানি, ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে

ধূমপান করে নামাজে দাঁড়ানো মাহরুহ। যদিও নামাজ হয়ে যাবে। ধূমপান করা একটি নাজায়েজ কাজ এতে আর্থিক অপচয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যেরও অনেক ক্ষতি হয়।

আর যদি কেউ জেনে শুনে নিজের ক্ষতি করে তাহলে গুনাহ। আমাদের উচিত ধূমপান থেকে বিরত থাকা। যারা ধূমপান করে তাদের জন্য অন্য লোকেদের অনেক কষ্ট হয় আর কাউকে কষ্ট দেওয়াও একটি গুনাহ। তাই ধূমপান থেকে বিরত থাকা অবশ্যক।

হাদিসে এসেছে, ‘যে কেউ আল্লাহ্ তা‘আলা ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়’।

সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে

সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে

ধূমপান করলে নামাজ হবে না তা নয়, ধূমপান করলে নামাজ হবে। কিন্তু যদি কেউ মধ পান করে তাহলে তার ৪০ দিনের ইবাদত নামাজ কবুল হবে না।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আমার উম্মত কেউ যদি মধ পান করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার ৪০ দিনের নামাজ কবুল করবেন না।

যদি কেউ অজু করে ধূমপান করে তাহলে তার ওযু ভঙ্গ হবে না। তবে ধূমপান করে নামাজে দাঁড়ানো মাক্রুহ। যদিও নামায হয়ে যাবে।

রাসূল (সাঃ) দুর্গন্ধ নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা সম্পর্কে কি বলেছেন?

দুর্গন্ধসহ মসজিদে প্রবেশ করাই তো মাহরুহ। হাদিস শরীফে ধূমপানের চেয়ে অনেক কম দুর্গন্ধ বস্ত তথা কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন খেয়ে মসজিদে প্রবেশ করতেও নিষেধ করা হয়েছে।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি পেঁয়াজ, রসুন এবং পেঁয়াজের মতো গন্ধ হয় এমন কোনো সবজি খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের ধারে কাছেও না আসে। কেননা, মানুষ যেমনি খারাপ গন্ধ দ্বারা কষ্ট পায়, ফেরেশতাও তদ্রূপ কষ্ট পায়”।

অতঃপর আমরা সকলেই জানি ধূমপান করলে আরো বাজে গন্ধ বের হয়। ধূমপানের তীব্র গন্ধের সাথে মসজিদে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ।

ধূমপানের মত নাজায়েজ কাজ করে একজন মুসলিম কিভাবে আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে। তবে ধূমপান যেহেতু ওযু ভঙ্গের কারণ নয় তাই নামাজ পড়া কিংবা কুরআন শরীফ ধরার জন্য পুর্ণরায় ওযু করার দরকার হবে না।

পরিশেষে বলা যায়, ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই আমরা ধূমপান থেকে বিরত থাকবো।