ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম? জেনে নিন

সালাতুল ইশরাক বা ইশরাকের নামাজ আজ আমি আপনাকে জানাবো ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম, তার ফজিলত ও ইশরাকের নামাজ নিয়ে হাদিস। ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম?

আমি আপনারা সকলেই জানি, প্রতিটি মুসলিম নর-নারীর উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে।কিন্তু আমার সকলেই জানি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নানান ধরনের নফল নামাজ নফল ইবাদাত করতেন।

ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম?

এই নফল ইবাদাতের মধ্যে একটি হলোঃ সালাতুল ইশরাক বা ইশরাকের নামাজ।

ইশরাকের নামাজ মোটঃ ১২ রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়।

ইশরাকের নামাজ প্রথম কথা হচ্ছে, এই নামাজের রাকাত নির্দিষ্ট করা নেই। সর্বনিম্ন যে রাকাত পড়া হয়ে থাকে সেটা হলোঃ দুই রাকাত।

তবে আপনাদের ইচ্ছা মতো যেমনঃ ২ রাকাত, ৪ রাকাত, ৮ রাকাত, ১২ রাকাত পড়তে পারেন।

আপনি দুই রাকাত থেকে শুরু করে আট রাকাত পর্যন্ত পড়তে পারবেন।

কিছু সংখ্যক ওলামায়ে কেরাম বলেছেন ১২ রাকাত পর্যন্ত পড়া যাবে। ইশরাকের নামাজ প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর আমল দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে।

ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম?

ইশরাকের নামাজ পড়ার সময়

ফজরের ফজর নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সূর্য উঠার পর এ নামাজ আদায় করতে হয়। কেউ কেউ বলেছেন সূর্য উঠার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর, আবার কেউ কেউ বলেছেন ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর এ নামাজ পড়তে হয়।

ইশরাকের নামাজের ওয়াক্ত থাকে সূর্য এক বর্শা পরিমাণ মধ্যাকাশের দিকে উঠা পর্যন্ত।

ইশরাকের নামাজ অন্য নফল ইবাদাতের তুলনায় বেশি ফজিলত ও মর্যাদাপূর্ণ।

ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম

প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) সূর্য উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই নামাজ আদায় করতেন না। তিনি এক বর্শা পরিমাণ সূর্য ওঠার অপেক্ষা করতেন।

আমরা প্রিয় নবীর উম্মত তাই আমাদের উচিৎ নবীজির দেখানো পথে চলা।

হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ফজর নামাজ জামাতে আদায় করার পর সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত ওখানে বসে বসেই আল্লাহর জিকির করে।

তারপর দুই রাকাত ইশরাকের নামাজ আদায় করে। তার জন্য পূর্ণাঙ্গ হজ্জ ও উমরার সমান সাওয়াব রয়েছে।

ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম?

ইশরাক অন্যান্য নামাজের মতোই দুই রাকাত করে পড়তে হয়। ইশরাকের নামাজের জন্য সুস্পষ্ট আলাদা কোনো নিয়ম নেই। শুধু নিয়ত করে আল্লাহু আকবার বলে শুরু করা। আর দুই দুই রাকাত করে নামাজ পড়া।

আল্লাহ তাআলা পাক রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহকে নির্ধারিত সময়ে হাদিসের ওপর আমল করে নিয়মিত ইশরাক নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন।

(আমিন)