এশার নামাজের সময়

আজকের এশার নামাজের সময় কবে? এশার নামাজের সময় এবং ফজিলত সম্পর্কে নিচে তুলে ধরা হলো।

এশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু
7:40 pm

প্রত্যেক জেলার আজকের নামাজের সময়সূচি

এশার নামাজের রাকাত সংখ্যা কত?

সর্বমোট পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ রাকাত সংখ্যা রয়েছে এশার নামাজের। এশার নামাজের রাকাত সংখ্যা হল ১৭।

আপনি যদি এশার নামাজ আদায় করতে চান, তাহলে আপনাকে ১৭ রাকাত নামাজ আদায় করে নিতে হবে।

এই ১৭ রাকাত নামাজের মধ্য থেকে ফরজ নামাজ হলো সর্বমোট ৪ রাকাত, সুন্নত নামাজ হলো ৬ রাকাত, বিতরের নামাজ ৩ রাকাত এবং বাকি ৪ রাকাত হলো নফল নামাজ।

একজন মুসলমান হিসেবে আপনাকে উপরে উল্লেখিত নামাজ গুলো আদায় করে নিতে হবে।

এশার নামাজ পড়ার নিয়ম

বাকি ৪ ওয়াক্ত নামাজ আপনি যেভাবে আদায় করেছেন, ঠিক একই রকমভাবে এশার নামাজ আদায় করে নিবেন।

ফরজ নামাজ ঠিকমতো পড়ায় নেয়ার পরে, বাকি নামাজ আগে পিছে করে পড়ে নিতে পারেন।

তবে সব সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন। আর সেটি হল, বিতরের নামাজ সর্বশেষে আদায় করার। কারন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেনঃ আমাদের রাতের নামাজের সর্বশেষ নামাজ যেন হয় বিতরের নামাজ।

তাই আপনি যখন মনে করবেন আর কোন নামাজ আপনি পড়বেন না, তখন বিতরের নামাজ পড়ে নিতে পারেন৷ কারণ সর্বশেষ নামাজ হিসাবে বিতরের নামাজ পড়া উত্তম।

এশার নামাজের সময় নির্ধারণ

এছাড়াও নিম্নলিখিত আলামত দেখে নিলে আপনি বুঝে নিতে পারবেন যে, এশার নামাজের সময় হয়ে গেছে কিংবা এশার নামাজ পড়া উত্তম।

গোধুলী পেরিয়ে রাতের অন্ধকার ঘনিয়ে আসার পর হতে এই নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং রাতের এক তৃতীয়াংশ সময় থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত যে কোন সময়ে নামাজ আদায় করে নেয়া যেতে পারে।

এশার নামাজের ফজিলত

এছাড়াও এশার নামাজের কিছু ফজিলত সম্পর্কে আপনি যদি জেনে নিতে চান, তাহলে নিচে থেকে সে সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে এশার নামাজ আদায় করল, সে যেন অর্ধেক রাত পর্যন্ত (নফল) নামাজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করল সে যেন সারা রাত জেগে নামাজ আদায় করল।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৭)

এছাড়াও আসরের নামাজ সময়মতো পড়লে আসরের নামাজের ফজিলত উপভোগ করতে পারবেন। সেই সম্পর্কে আরেকটি হাদীস নিচে তুলে ধরা হলো।

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার নামাজের চেয়ে অধিক ভারী কোনো নামাজ নেই। এ দুই নামাজের ফজিলত যদি তারা জানত, তাহলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হতো।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৫৭)

উপরে উল্লিখিত দুটি হাদিস ছাড়াও আরো নানা রকমের হাদিস রয়েছে এই নামাজের ফজিলত সম্পর্কে।

কাজেই, অন্যান্য নামাজের মতই এশার নামাজ গুরুত্ব সহকারে আদায় করে নেন চেষ্টা করবেন। আল্লাহ যেন আপনাদেরকে আমাকে এবং সবাইকে সময় মত নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করেন।

এবং দুনিয়া আখেরাতে সফলকাম হওয়ার মত যোগ্যতা অর্জনে তৌফিক দান করেন