অনেকই আছেন কি ভাবে জুমার নামাজ পড়তে হয় জানেন না বা কত রাকাত জুমার নামাজ পড়তে হয় জানেন না। জুমার নামাজ কত রাকাত?
সেই সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য আপনি যদি জেনে নিতে চান, তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন।
জুমার দিন সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। যোহরের নামাজের সময় জুমার নামাজ পড়তে হয়। যোহরের সঙ্গে জুমার নামাজের নিয়মগত কিছু পার্থক্য রয়েছে।
জুমার নামাজ কত রাকাত?
জুমার নামাজ মোটঃ ১০ রাকাত।
জুমার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে পবিত্র আল কোরআনে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তা’আলা বলেন, “হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে তাড়াতাড়ি করো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো।
এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। অতঃপর নামাজ সমাপ্তি হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফল হও।
পবিত্র আল কোরআনে জুমার নামাজের সময় হলে কাজ বন্ধ করে নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার প্রতি আল্লাহ তায়ালা তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
তবে কোনো ব্যক্তি যদি কারণবশত খুব অসুস্থ থাকেন। জুমা আদায় করতে না পারেন, তবে তার ক্ষেত্রে যোহরের নামাজ আদায় করা নিয়ম। এছাড়াও আরো কিছু ক্ষেত্রে অসুস্থ ব্যক্তির ওপর।
যেমনঃ মুসাফির অবস্থায় জুমার আবশ্যকতা থাকে না এবং সেক্ষেত্রে যোহরের নামাজ আদায় করলে তা গ্রহণীয় হয়। তবে মুসাফির চাইলে জুমা আদায় করতে পারে।
জুমার নামাজ কত রাকাত?
জুমার নামাজের রাকাআত সংখ্যা বন্টন
জুমার নামাজ মোট ১০ রাকাত গুলো হলোঃ ফরজ ২ রাকাত, কাবলাল জুমা ৪ রাকাত, বাদাল জুমা ৪ রাকাত।
জুমার নামাজের ওয়াক্ত যোহরের ওয়াক্তের সময়। জুমার দিন দুপুরে গোসল করে পরিষ্কার জামা-কাপড় পরিধান করে আজানের সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে উপস্থিত হয়ে নামাজ আদায় করা উত্তম।
জুমার নামাজে দুই রাকাত ফরজ রয়েছে। এছাড়া ফরজ নামাজের পূর্বে চার রাকাত কাবলাল জুমা এবং পরে চার রাকাত বাদাল জুমা আদায় করতে হয়।
জোহরের মতো কেউ চাইলে এসময় অতিরিক্ত নফল নামাজ আদায় করতে পারে। তবে এসব নফল নামাজ জুমার অংশ হিসেবে পড়া হয় না এবং তা আবশ্যকীয়ও নয়। বরং ব্যক্তি তা স্বেচ্ছায় করতে পারে, না করলে তার দোষ হয় না।
আমরা জানি, যতই ইবাদত ততই ফজিলত।
তাই সময় থাকলে জুমার দিন তাহিয়্যাতুল ওজু ২ রাকাত সুন্নত, দুখলুল মসজিদ ২ রাকাত সুন্নত ও নফল নামাজ আদায় করা উত্তম। যদিও ওই নামাজগুলো জুমার নামাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
জুমার দিনকে মুসলমাদের ঈদের দিন বলা হয়। জুমার দিন সাধ্য থাকলে নতুন জামা কিংবা পাঞ্জাবি পরতে পারেন। এছাড়া খুশবু নেয়া, হাত-পায়ের নখ কাটাও সুন্নত।