পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। আর ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদত হলো নামাজ। তাহাজ্জুদের নামাজ সুন্নত নাকি নফল?
আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো তাহাজ্জুদের নামাজ সুন্নত নাকি নফল সে সম্পর্কে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা তাহাজ্জুদের নামাজ কিভাবে পড়তে হয় জানে না। তাই আজ আমি তাহাজ্জুদ নামাজের সময় ও কত রাকাত পড়তে হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
তাহাজ্জুদ নামাজ নফল নাকি সুন্নত?
তাহাজ্জুদ নামাজ হলোঃ নফল ইবাদাত।
তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নাতে গায়রে মুআক্কাদা বা নফল। প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ নামায চার রাকাত, ছয় রাকাত আট রাকাত বা দশ রাকাত ইত্যাদি প্রমাণিত।
এর থেকে কম বেশি পড়লেও কোনো সমস্যা নেই। তাই যত ইচ্ছা পড়তে পারেন। তবে উত্তম হলো আট রাকাত নামাজ পড়া। তাহাজ্জুদ নামাজ আপনার আমার সকলের জন্যেই অতিরিক্ত নামাজ।
আল্লাহর বানী, “যারা প্রার্থনা করতে আমি তাদের প্রার্থনা গ্রহণ করে নিই” (সূরা বাকারাঃ ১৮৬)
তাহাজ্জুদ নামাজের ওয়াক্তঃ তাহাজ্জুদের অর্থ হলো ঘুম থেকে উঠা। তাহাজ্জুদের যে তাকীদ করা হয়েছে তার মর্ম এই যে, রাতের কিছু অংশ ঘুমিয়ে থাকার পর উঠে নামায পড়া।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার আগে প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর তাহাজ্জুদ নামাজ বাধ্যতামূলক ছিল। তাই তিনি জীবনে কখনো তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া থেকে বিরত হননি।
তবে উম্মতে মুহাম্মদির জন্য তাহাজ্জুদের নামাজ সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদা অর্থাৎ এ নামাজ আদায় করলে অশেষ পুণ্য লাভ করা যায়। যার ফজিলত অনেক কিন্তু আদায় করতে না পারলে কোনো গুনাহ হবে না।
এছাড়াও তাহাজ্জুদ নামাজকে সকল নফল ইবাদতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ইবাদত বলা হয়েছে।
তাহাজ্জুদের নামাজ সুন্নত নাকি নফল?
আল্লাহ বলেছেন- রাতের কিছু অংশ কোরআন পাঠ সহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্যে অতিরিক্ত। হয়ত বা আপনার পালনকর্তা আপনাকে মোকামে মাহমুদে পৌঁছাবেন।
আল্লাহ তার বান্দাদের রাতের কিছু অংশ কুরআন তিলাওয়াত আর নামায কায়েম করার মধ্য দিয়ে জাগ্রত থাকার জন্য বলেছেন।
তাহাজ্জুদের নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফযিলতপূর্ণ ইবাদত। যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যেতে পারবেন, তাদের মধ্যে এক শ্রেণির মানুষ হলেন তারা, যারা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন।
কুরআনের বিভিন্ন সূরায় তাহাজ্জুদ নামাজের প্রতি তাগিদ দেয়া হয়েছে।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময়ঃ
এশার নামাজ আদায়ের পর থেকে শুরু করে সুবহে সাদিকের আগে পর্যন্ত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যায়। তবে অর্ধ রাতের পর থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া ভালো।
তাহাজ্জুদের সর্বোত্তম সময় হলোঃ এশার নামাজের পর লোকেরা ঘুমাবে। তারপর অর্ধেক রাতের পর উঠে নামায পড়বে। শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম।
রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যদি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা আমার উম্মতের জন্য কষ্টসাধ্য না হত তাহলে আমি তা আমার উম্মাতের উপর ফরজ করে দিতাম। সুতরাং বুঝা যায়, যদিও এ নামাজ নফল তবুও এর গুরুত্ব অপরিসীম।