আমাদের প্রিয় নবী মোহাম্মদ (সাঃ) ফরজ নামাজের পাশাপাশি অনেক ধরনের নফল নামাজ আদায় করতে। তাদের মধ্যে একটি নামাজ হলো চাশতের নামাজ। চাশতের নামাজ পড়ার নিয়ম?
চাশতের নামাজ হলো নফল নামাজ। এই নামাজ কে হাদিসে বলা হয়েছে “সলাতুদ দোহা”। দোহা অর্থ হলো “প্রভাত সূর্যের উজ্জ্বল্য” যা শুরু হয় সূর্য স্পষ্ট ভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর।
চাশতের নামাজ পড়ার নিয়ম?
অনেকগুলা নফল নামাজের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি নামাজ হলো চাশতের নামাজ। নবীজি (সাঃ) এই নামাজ সব সময় পড়তে এবং সাহাবীদেরকে ও উপদেশ দিতেন পড়ার জন্য।
মানুষের শরীরে ৩৬০ টি হাড় রয়েছে। এই হাড় গুলোর মধ্যে জোড়া রয়েছে প্রায় চার হাজার। এইসব জোড়ার হোক আদায় করা বা সদকা করা আবশ্যক।
আমরা যদি প্রতিদিন নফল ইবাদতকারি যেমন: পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো, তাসবিহ- তাহলিল বা সৎ কাজের আদেশ নির্দেশত ইত্যাদি ভালো কাজে আমাদের হাড়ের এক একটি জোড়ার হক আদায় হয়।
এভাবে সারা দিনে প্রায় চার হাজার হাড়ের হোক আদায় করা বা ভালো কাজ করা অসম্ভব।
তাই নবীজি (সাঃ) এমন একটি নামাজের কথা বলেছেন যা আদায় করলে সমস্ত হোক আদায় হয়ে যাবে আর এই নামাজটি হলো চাশতের নামাজ।
নবীজি (সাঃ) হাদিসে চাশতের নামাজের প্রয়োজনীয়তা ও উপকার তুলে ধরেছেন।
চাশতের নামাজ পড়ার নিয়ম?
চাশতের নামাজের সময় হলো সূর্যোদয়ের পর ইশরাক নামাজ আদায়ের পর থেকে শুরু করে দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত এ নামাজ পড়া যায়।
চাশতের নামাজ ১২ রাকাত পর্যন্ত পড়া যাবে। কিন্তু কমপক্ষে দুই রাকাত নামাজ পড়তে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি চান দুই রাকাত, চার রাকাত কিংবা সময় সাপেক্ষে আরো বেশি বারো রাকাত পর্যন্ত পড়তে পারেন।
চাশতের নামাজ আপনার কিভাবে পড়বেন
চাশতের নামাজ পড়ার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। আপনি অন্যান্য নফল নামাজের মতো দুই রাকাত দুই রাকাত করে যত রাকাত ইচ্ছা তত রাকাত পড়তে পারেন।
আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে তার দেওয়া সেরা উপহার আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গের সাদকা আদায়ের তৌফিক দান করুন।