জামাতে নামাজ হলো সে সকল নামাজ যে নামাজ জামাতের মাধ্যমে পড়া হয়। সমবেত প্রার্থনা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের মধ্যে একটি ইবাদাত।জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম?
আজ আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি জামাতের নামাজ পড়ার নিয়ম।
জামাতের নামাজের গুরুত্ব মর্যাদা ও ফজিলত অনেক বেশি। এটি হাদিসের বিশুদ্ধ বর্ণনা থেকে বর্ণিত। প্রিয় নবী (সাঃ) জামাতে নামাজ পড়ার জন্য বিশেষভাবে জোর দিয়েছে।
জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম
তিনি আরো বলেছেন, জামাতের নামাজে একাকী নামাজের চেয়ে ২৭ গুণ বেশি ফজিলত। প্রিয় নবী (সাঃ) সারা জীবন জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করেছেন। এমনকি তিনি অসুস্থতার সময়ও জামাত ছাড়েন নি।
জামাতের নামাজের তাগিদ দিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, “রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু কর”।
জামাতের নামাজ যে আদায় করায়, লোকজন যাকে অনুসরণ করে তাকে বলা হয় ইমাম।
ইমাম হলেন নামাজের নেতৃত্বদানকারী।
ইমাম অনুসরণকারীকে বলা হয় “মাউমুম”। যার অর্থ হলো যিনি নেতৃত্ব দেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের পাঁচটি দৈনিক নামাজ, সপ্তাহে একদিন জুমার নামাজ, দুই ইদের নামাজ জামাতে আদায় করা ফরজ।
এক কথায় বলা যায় যা আমাদের জামাতের নামাজের নিয়ম হলো মুক্তাদীরা ইমাম সাহেবকে অনুসরণ করবে।
জামাতের নামাজের মাসআল
মাসআলাঃ প্রতি নামাজেই ইমামের সঙ্গে একজন মুক্তাদি হলেও জামাত হয়ে যায়। (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর: ৬১৮)
মাসআলাঃ ইমামের সঙ্গে তিনজন মুক্তাদি হলে জুমার নামাজ আদায় হয়ে যায়। (আবদুর রাজ্জাক ফি মুসান্নাফিহি : ৩/২৯৯)
মাসআলাঃ পুরুষের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই জামাতে আদায় করা সুন্নাতে মুআক্কাদা, যা ওয়াজিবের সঙ্গে তুলনীয়। (মুসলিম,হাদিস: ১০৪৬)
মাসআলাঃ জুমা ও দুই ঈদের জন্য জামাত শর্ত। জামাত ছাড়া জুমা এবং ঈদের নামাজ সহিহ হবে না। (আবু দাউদ, হাদিস: ৯০১)
মাসআলাঃ তারাবিহ ও সূর্য গ্রহণের নামাজ সুন্নতে মুআক্কাদায়ে কেফায়া। (বুখারি, হাদিস নম্বর: ১৮৭৩)
মাসআলাঃ রমজানে বিতরের নামাজ জামাতে আদায় করা মুস্তাহাব। (মুআত্তা, হাদিস: ২৩৩)
মাসআলাঃ রমজান ছাড়া অন্য সময় বিতর নামাজ জামাতে পড়া মাকরুহ। (মুসলিম, হাদিস: ১২০১)
আশা করি এই পোস্টটি সম্পুর্ণ পড়ার পর আর আপনাদের কোন সমস্যা থাকবে না জামাতের নামাজ নিয়ে।