নামাজ নিয়ে উক্তি প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য নামাজ পড়া একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। নামাজ ইসলামের পাঁচটি রোকনের মধ্যে দ্বিতীয় রোকন নামাজ। নামাজ নিয়ে উক্তি?
নামাজ নিয়ে উক্তি?
আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা নামাজ নিয়ে উক্তি খুঁজছেন তাদের জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেল।
নামাজ মানুষকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
নামাজের উক্তি হলো
নামাজ নিয়ে ১৩ টি উক্তি যা সরাসরি পবিত্র
কোরআনের আয়াত নিচে দেওয়া হলোঃ
১. আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়।
( সূরা আল বাকারা- আয়াতঃ ৪৩)
২. ধৈর্যের সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব। (সূরা আল বাকারা- আয়াতঃ ৪৫)
৩. তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাতাক দাও। তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎ কর্ম প্রেরন করবে, তা আল্লাহ্র কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা প্রত্যক্ষ করেন। ( সূরা আল বাকারা- আয়াতঃ ১১০)
৪. হে মুমিন গন ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর । নিশ্চিতই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথেই রয়েছেন। (সূরা আল বাকারা- আয়াতঃ ১৫৩)
৫. সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহ্র সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও। ( সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ২৩৮)
৬. হে বনী আদম! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও, খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না। তিনি অপব্যয়ীদের কে পছন্দ করেন না । ( সূরা আল আরাফ- আয়াতঃ ৩১)
৭. আর যেসব লোক সুদৃঢ় ভাবে কিতাবকে আঁকড়ে থাকে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে নিশ্চয় আমি বিনষ্ট করবো না সৎ কর্মীদের সওয়াব। ( সূরা আল আরাফ- আয়াতঃ ১৭০)
৮. আমিই আল্লাহ্ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর। ( সূরা তোয়া-হা- আয়াতঃ ১৪)
৯. নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলদের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও। (সূরা আন নূর- আয়াতঃ ৫৬)
১০. সবাই তার অভিমুখী হও এবং ভয় কর, নামায কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।( সূরা আর রুম- আয়াতঃ ৩১)
১১. হে বতসো, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদ আপদে সবর কর। নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ। (সূরা লোকমান- আয়াতঃ ১৭)
১২. যারা আল্লাহ্র কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না। (সূরা ফাতির- আয়াতঃ ২৯)
১৩. মুমিন গণ, জুমআর দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহ্র স্মরণের পানে তারা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর । এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। (সূরা আল জুমুআ- আয়াতঃ ৯)
নামাজ নিয়ে উক্তি?
হাদিসে নামাজ নিয়ে ৯ টি উক্তি
১. আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার উম্মতের উপর সর্বপ্রথম নামাজ ফরজ করেছেন এবং কেয়ামতের দিন সবার আগে নামাজের হিসাব নেয়া হবে। (আল হাদিস)
২. ইসলামের নিদর্শন একমাত্র নামাজ। যে ব্যক্তি একাগ্রচিত্তে ওয়াক্ত ও সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে নামাজ পড়ে সেই মুমিন। (আল হাদিস)
৩. নামাজের দ্বারা শয়তানের মুখ কালো হয়ে যায়। (আল হাদিস)
৪. কোন ব্যক্তি যখন নামাজে দাড়ায় তখন আল্লাহপাক তার দিকে পূর্ণ মনোযোগ দেন। আর যখন সে নামাজ থেকে সরে যায়, তখন আল্লাহও মনোযোগ সরিয়ে নেন (আল হাদিস)
৫. কোন পাপের কারণে কোন নামাজি জাহান্নামে প্রবেশ করলেও তার সেজদার অঙ্গ জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। (আল হাদিস)
৬. মানুষ নামাজে দাড়ালে তার জন্য বেহেস্তের দরজা খুলে যায় এবং আল্লাহ তায়ালা ও নামাজিদের মধ্যে কোন পর্দা থাকে না। ( আল হাদিস)
৭. সালাত বেহেস্তের চাবি। (আল হাদিস)
৮. সালাতের জন্যে অপেক্ষমাণ ব্যাক্তি সালাতের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। (আল হাদিস)
৯. মানুষের ঈমান এবং শিরক ও কুফরের মধ্যকার পার্থক্য হলো সালাত পরিহার করা। (আল হাদিস)
নামাজ নিয়ে উক্তি?
মনিষীদের নামাজ নিয়ে উক্তি
১. আল্লাহর যিকিরে, সালাতে এবং কুরআন তিলাওয়াতে যে ব্যক্তি সুখ খুঁজে পায় না, সে অন্য কোথাও তা খুঁজে পাবে না। (আল হাসান আল-বাসরী- রাহিমাহুল্লাহ)
২. আমি জান্নাতের চেয়ে সালাতকে বেশি ভালোবাসি। কারণ জান্নাতের সুখ আমার নিজের জন্য আর সালাত আমার মহান রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি জন্য।
হযরত আলী ( রাঃ)
৩. ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম। সুতরাং, জেগে উঠুন এবং নামাজে দাঁড়িয়ে যান। এর মাধ্যমে আপনি আপনার অহংকার থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন।