সালাতুল হাজত বা হাজতের নামাজ সম্পর্কে আজ আমরা নিয়ে এসেছি এ আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত বর্ণনা হাজতের নামাজ?
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কি না হাজতের নামাজ সম্পর্কে জানেন না। তাই আমরা নিয়ে এসেছি আপনাদের না জানা এই নামাজের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
আশা করি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন হাজতের নামাজ সম্পর্কে।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে আরম্ভ করা যাক।
সালাতুল হাজত যার অর্থ হলো প্রয়োজনের নামাজ। মানুষের বিশেষ কোন প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক ও মানসিক কোন দুশ্চিন্তা দেখা দিলে এ নামাজ পড়তে হয়।
হাজতের নামাজ?
সালাতুন হাজত হলো একটি নফল নামাজ। এ নামাজ পড়ার নির্দিষ্ট কোন দিন নেই। যখনই আপনারা কোন দুশ্চিন্তার মধ্যে পরবেন কিংবা যে কোন প্রয়োজনে এ নামাজ পড়তে পারেন।
সালাতুন হাজতের নামাজ হলোঃ কোন হালাল চাহিদা পূরণের জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়া।
হাজতের নামাজের সময়
আমরা যদি কোন দুশ্চিন্তার মাঝে থাকি কিংবা বিশেষ কোন প্রয়োজনে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা চাই, তাহলে এ নামাজ পড়তে হয়।
এ নামাজ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন- “সঙ্গত কোন প্রয়োজনের কারণে বান্দা নিজ প্রভুর কাছে ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করবে”।
এ নামাজের বিশেষ কোন সময় নেই। যখনই আপনি হালাল কোন কিছু আল্লাহর কাছে চাইবে তখন এ নামাজের মাধ্যমে আপনি চাইতে পারেন।
হাজতের সালাত আপনি নিষিদ্ধ ওয়াক্ত ব্যতীত সব সময় পড়তে পারবে।
সালাতুন হাজতের কি কোন নিয়ম আছে?
সালাতুল হাজত নামাজের কোন নিয়ম নেই। এ নামাজ অন্যান্য নফল নামাজের মত দুই রাকাত করে পড়তে হয়। এ নামাজ স্বাভাবিক নামাজের মত অজু করে দুই রাকাত নফল নামাজের মত পড়ে নিতে হয়।
আমরা সকলেই জানি ঈমানের পরে ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো সালাত। সালাত হলো ইসলামের প্রাণ। মুমিন এবং কাফেরদের মধ্যে পার্থক্য হল সালাত।
নামাজের মাধ্যমে যদি কোন কিছু চাওয়া হয় তাহলে আল্লাহ তায়ালা তা কখনো ফিরিয়ে দেন না। আমাদের সকলের উচিৎ আমাদের প্রয়োজনে আমরা আল্লাহকে সালাতের মাধ্যমে স্মরণ করব।