আজকে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা নিয়ে এসেছি, মুসাফিরের নামাজ নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। মুসাফিরের নামাজ?
মুসাফির কাকে বলে?
এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণকারীকে বলা হয় মুসাফির। আর মুসাফির অবস্থায় পড়ার নিয়মকে বলা হয় মুসাফিরের নামাজ।
যে ব্যক্তি প্রায় ৭৪ মাইল রাস্তা অতিক্রম করে কোন জায়গায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ এলাকার লোকালয়ে থেকে বের হয়ে তাকে ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় মুসাফির বলা হয়। তখন তাকে ইসলামিক বিধানের মোতাবেক কছরের নামাজ আদায় করতে হয়।
মুসাফিরের নামাজ?
মুসাফিরের নামাজঃ এটা মুসলিম পর্যটকদের একটি বৈশিষ্ট্য লম্বা ভ্রমণের চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ থেকে দু রাকাত নামাজ পড়া।
মুসাফির ব্যক্তি চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ থেকে দু’রাকাত নামাজ পড়বে। যেমন যোহর আসর ও এশার ফরজ নামাজ থেকে দুই রাকাত নামাজ পড়বে। একে কছরের নামাজ বলে।
এবং তিন রাকাত, দুই রাকাত বা ওয়াজিব নামাজ এগুলো পরিপূর্ণ পড়তে হবে। এ হল প্রথিমধ্যে থাকা কালীন সময়ের বিধান।
মুসাফিরের নামাজ?
গন্তব্যে পৌঁছার পর যদি আপনাকে ১৫ দিন তদুর্ধকাল থাকার নিয়ত হয় তাহলে কছর হবে না আপনাকে পরিপূর্ণ নামাজ পড়তে হবে।
আর যদি আপনার ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত থাকে তাহলে আপনার কছর হবে। যদি গন্তব্যস্থান নিজের বাড়ি হয় তাহলে কছর নামাজ হবে না।
আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তার বান্দার জন্য উপহারস্বরূপ হলো মুসাফিরের নামাজ। তাই মুসাফিরের জন্য ওয়াজিব হলো সেই নামাজ গ্রহণ করা।
কছর করা কুরআন ও হাদিসের দ্বারা প্রমাণিত।
আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে বলেন- তোমরা যখন জমিনে সফর কর তোমাদের আশঙ্কা হয়েছে, কাফিরগণ তোমাদের বিপন্ন করবে। তখন কছর আদায় করলে তোমাদের কোন গুনাহ নেই। নিশ্চয়ই কাফিরগণ তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন।
অনেক হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে মহানবী (সাঃ) হজ ওমরা যুদ্ধ সহ যেকোনো সফরে কছর নামাজ পড়তেন।
বিমান, ট্রেন, লঞ্চ, স্টিমার, জাহাজ উট পার্বত্য বিহার সবগুলো সফর বা ভ্রমণের অন্তর্ভুক্ত। আপনাকে সব জায়গায় কছর নামাজ পড়তে হবে।