আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন, তাহলে আশা করি আপনি প্রতিটি কাজের আগে আল্লাহকে স্মরণ করবেন। ইস্তেখারার নামাজ?
আজ আমরা নিয়ে এসেছি ইস্তেখারা নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা এই পোষ্টের মাধ্যমে।
আশা করি এই উল্লেখিত পোষ্টের মাধ্যমে আপনি
জানতে পারবে ইস্তেখারা নামাজের সম্পর্কে।
ইস্তেখারার নামাজ?
আমরা যদি নতুন কোন কাজ আরম্ভ করি তাহলে প্রথমে ইস্তেখারা করতে হয় অর্থাৎ কোন কল্যাণকর কামনার ইঙ্গিত পেতে আমাদের ইস্তেখারা নামাজ পড়া অবশ্যক।
ইস্তেখারা আরবি অর্থ হলো: কল্যাণ প্রার্থনা করা বা এমন কিছু প্রার্থনা করা যাতে কল্যাণ রয়েছে।
ইস্তেখারা বলা হয় কোন কাজ কল্যাণকর হবে কিনা সে ইঙ্গিত পেতে দুই রাকাত নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বিশেষ প্রার্থনা।
আমাদের মনে এখন প্রশ্ন আসতে পারে ইস্তেখারা নামাজ সুন্নত নামাজ, নফল নামাজ নাকি ওয়াজিব। এই প্রশ্নের উত্তর ও আমরা নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য।
ইস্তেখারা হলো সুন্নত নামাজ। প্রিয় নবী (সাঃ) ইস্তেখারার নামাজ পড়ার বিশেষ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
হাদিসে এসেছে জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের যেভাবে কুরআনের সূরা শেখাতেন, ঠিক সেভাবে গুরুত্বের সঙ্গে প্রতিটি কাজের আগে আমাদের ইস্তেখারা করার শিক্ষা দিতেন।
যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ইস্তেখারা বা কল্যাণ কামনা করে সে কখনো অনুতপ্ত হবে না।
ইস্তেখারা কখন করতে হয়?
ইস্তেখারা নিয়ে ইসলামের দিক নির্দেশনা হলো যেকোনো নতুন কাজে আগে ইস্তেখারা করে নেওয়া।আর যদি কেউ কোনো কাজ করতে গিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যায়, তবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ইস্তেখারা করার বিকল্প নেই।
ইস্তেখারা যদি সুন্নতের অনুসারে করা হয় তাহলে মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের ইঙ্গিত প্রদান করেন।
তাই আমাদের উচিৎ যেকোনো নতুন কাজে আগে সঠিক সিদ্ধান্ত পেতে ইস্তেখারা করা। বিশ্বনবী স্বয়ং ইস্তেখারা কিভাবে করতে হবে তাও বলে দিয়েছেন। সুতরাং আমাদের বিয়ে-শাদী, চাকরি বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা বিদেশ সফরের বিষয়ে ইস্তেখারা করতে হবে।
ইস্তেখারা করার নিয়ম
ইস্তেখারা করা সুন্নত। মানুষের জন্য অনেক কল্যাণের। ইস্তেখারা নামাজ দুই রাকাত নামাজের মতো করে পড়তে হবে। অতঃপর নামাজের সালাম ফেরানোর পর আল্লাহ তাআলার মর্যাদার কথা বড়ত্ব মনে করে বিনয় ও আন্তরিকতার সাথে দোয়া পড়তে হবে।
দোয়াটি ওরকম পড়তে হবে যে, হে আল্লাহ! আমি তোমার জ্ঞানের সাহায্য চাইছি, আমি তোমার শক্তির সাহায্য চাইছি এবং তোমার মহা অনুগ্রহ চাইছি। তুমি শক্তি ও ক্ষমতার অধিকারী আমার কোন ক্ষমতা নেই। তুমি অফুরন্ত জ্ঞানের অধিকারী, আমার কোন জ্ঞান নেই। তুমি অদৃশ্য বিষয় সম্পূর্ণরূপে জানো। হে আল্লাহ! তুমি যদি এই কাজটি আমার জন্য, আমার দিনের দৃষ্টিকোণ থেকে আমার জীবন যাপনের ব্যাপারে এবং আমার কাজের পরিমাণের দিক থেকে আমার দুনিয়া ও আখিরাতে ব্যাপারে ভালো মনে কর। তবে তা আমার জন্য নির্দিষ্ট করে দাও এবং আমার জন্য সহজ করে দাও।
পরিশেষে আল্লাহর কাছে একটাই চাওয়া আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী ইস্তেখারার নামাজের জন্য তৌফিক দান করুন।
(আমিন)