নামাজ আল্লাহর দেওয়া বান্দার জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার। নামাজ হলো ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে দ্বিতীয়। নামাজ বেহেস্তর চাবি।নামাজ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত?
অনেকেই আছেন যারা কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন, কিন্তু কুরআনের অর্থ না বুঝে।
নামাজ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত
আল কোরআন হলো ইসলামের শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ। যা আল্লাহ তায়ালার কাছে থেকে এসেছে। কুরআনের প্রতিটি বাণী আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এসেছে।
পবিত্র আল আল কোরআন নাজিল হয়েছে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)এর উপর।
আর এই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বারবার একটি কথাই উল্লেখ করেছেন তা হলো নামাজ। নামাজের মাধ্যমে পরকালে সুখ শান্তি পাওয়া যায়।
নামাজ ব্যতীত মানুষ যেমন দুনিয়াতেও সুখি হতে পারে না, তেমনি পরকালেও তাদের শাস্তির কোন শেষ নেই।
তাই আল্লাহ তায়ালা বারবার কুরআনে বলেছে, নামাজ পড়ার জন্য।
নামাজ সম্পর্কে কোরআনের আয়াত
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল কুরআনে নামাজ সম্পর্কে যে আয়াত বর্ণনা করেছেন তা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
- তোমার ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিঃসন্দেহে তা খুব কঠিন, বিনীতদের জন্য ছাড়া। (সূরা বাকারাহ আয়াতঃ ৪৫)
- বলো নিশ্চয়ই আমরা নামাজ ও কুরবানী জীবন মরণ জগৎ পালকের প্রতি জন্য। (সূরা আনয়াম আয়াতঃ ১৬২)
- তোমারে নামাজ সমূহের প্রতি এবং মধ্যবর্তী নামাজের প্রতি যত্নবান হও এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একান্ত অনুগত্য অবস্থায় দাড়াও। (সূরা বাকারাহ আয়াতঃ ২৩৮)
- আমি যদি তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা করি, তাহলে তারা নামাজ কায়েম করবে। সৎ কাজের নির্দেশ দিবে এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ করবে। আর সব কাজের পরিণাম নিকট। (সূরা হজ আয়াতঃ ৪১)
- হে নারী, তুমি পাঠ কর তোমার প্রতি যে কিতাব ওহী নাজিল করা হয়েছে তা থেকে নামাজ কায়েম কর। নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত করে এবং আল্লাহর স্মরণীয় সর্বশ্রেষ্ঠ। আর তোমরা যা কর আল্লাহ তা জানেন। (সূরা আনকাবুত আয়াতঃ ৪১)
- এবং তুমি নামাজ কায়েম করো দিনের দুই প্রান্তে ও রাতের প্রথমাংশে। নিশ্চয়ই ভালো কাজ মন্দ কাজকে মিটিয়ে দেয়। উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য এটি একটি উপদেশ। (সূরা হুদ আয়াতঃ ১১৪)
- অতঃপর যখন তোমরা নামাজ সমাপ্ত করবে তখন দাঁড়িয়ে বসে অথবা শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করো। নামাজ আদায় করো। নিশ্চয়ই নামাজ মুমিনদের উপর একটি সময় নির্ধারণ ফরজ। (সূরা নিসা আয়াতঃ ১০৩)
- সূর্য হেলে পরার পর থেকে রাত ঘন অন্ধকার পর্যন্ত কায়েম কর, এবং কায়েম করো ফজরের কুরআনের পাঠও (অর্থাৎ ফজরের নামাজ) নিশ্চয়ই ফজরের পাঠ করা হয়। (সূরা বানী ইসরাইল আয়াতঃ ৭৮)
- ওহে যারা ঈমান এনেছো, জুমার দিন যখন তোমাদেরকে জন্য নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও এবং ক্রয় বিক্রয় ত্যাগ করো। এটি তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে। (সূরা জুমা আয়াতঃ ৯)
এই আয়াত গুলো পবিত্র আল-কুরআনের নামাজ সম্পর্কে দেওয়া হয়েছে।