“পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন” আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। লাইলাতুল কদরের নামাজ?
আমরা যত বেশি আল্লাহর নামে ইবাদত করব আল্লাহ আমাদের উপর তত বেশি খুশি হবেন।
তাই আজ আমরা নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য এই ব্লগের মাধ্যমে লাইলাতুল কদরের নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
লাইলাতুল কদরের নামাজ?
লাইলাতুল কদর হলো আরবি শব্দ যার অর্থ হলো বরকতময়, সম্মানিত বা মহিমান্বিত রাত। ফার্সি ভাষায় বলা হয় শবে কদর।
লাইলাতুল কদরের রাত বা শবে কদরের রাত মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, হাদিসের আলোকে জিকির ও কবর জিয়ারত এবং নিজের গুনাহের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে।
শবে কদরের রাতে বিশেষ কোনো নামাজের পদ্ধতি নেই। এই রাতে দুই রাকাত দুই রাকাত করে আপনি যত সুন্দর ভাবে মনোযোগ সহকারে নামাজ পড়বেন ততোই ভালো ততই উত্তম।
লাইলাতুল কদরের নামাজ?
এ রাতে আপনি দুই রাকাত দুই রাকাত করে যত রাকাত ইচ্ছা তত রাকাত নামাজ পড়তে পারে। এছাড়াও আপনি এই রাতে বিশেষ কোনো সূরা দিয়ে নামাজ পড়বেন এ কথার কোনো বৃত্তি নেই। আপনারা সূরা ফাতিহার সাথে যে সূরা ইচ্ছা অই সূরা দিয়ে নামাজ পড়তে পারেন।
শবে কদরের রাতে আপনি বেশি বেশি করে কুরআন তেলাওয়াত করবেন, দোয়া পড়বেন ও তওবা করবেন। এই রাতে আপনি কাজ করবেন আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।
লাইলাতুল কদরের দোয়া
এই রাতে যে দোয়াটি পড়বেন তা হলো: হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি রাসূল (সাঃ) জিজ্ঞাসা করেছিলেন- ইয়া রাসুলাল্লাহ আমাদের শবে কদরের রাতে কোন দোয়াটি বেশি বেশি করে পড়া উচিৎ?
তখন তিনি যে দোয়াটি পড়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন তা হলো আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি।
যার অর্থ হলো “হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, তাই আমাকে ক্ষমা করুন”।
আমরা সকলেই জানি, আল্লাহ তার ইবাদতকারীকে পছন্দ করেন। তাই আমাদের উচিৎ ফরজ নামাজ আদায় করে তার পাশাপাশি নফল ইবাদত করা।
প্রত্যেক মুসলমানের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। এই ফরজ নামাজের সাথে সাথে যদি আমরা বেশি বেশি করে নফল নামাজ নফল ইবাদত করি তাহলে আল্লাহতালা আমাদের ওপর খুশি হবেন।
আল্লাহ যেন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীকে বেশি বেশি নফল ইবাদতের তৌফিক দান করেন।
(আমিন)