শবে বরাত মানে আরেকটি উত্তম রাত, সাওয়াব পালনের রাত। শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয়?
আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন শবে বরাতের নামাজ কিভাবে পড়বে তা জানেন না জানার জন্য গুগলে অনুসন্ধান করে থাকেন।
আপনাদের জন্য এই পোস্টে আমরা তুলে ধরেছি শবে বরাতের নামাজ কত রাকাত কিভাবে পড়তে হয় কোন কোন সূরা দিয়ে শবে বরাতের নামাজ পড়া যায়।
শবে বরাতের আরবি শব্দ হলোঃ লাইলাতুল বরাত।
শবে বরাত শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ থাকে। শবে অর্থ হলো “রাত” আর বরাত অর্থ হলো “মুক্তি” শবে বরাতের পূর্ণ অর্থ হলো “মুক্তির রাত”
হাদিস শরিফে শবে বরাতকে বলা হয়েছে নিসফ শাবান বা শাবান মাসের মধ্য দিবসে রজনী।
পবিত্র শবে বরাতের রাত সকল মুসলমানের কাছে একটি প্রিয় রাত। এই রাতে মুসলিম উম্মাহ নফল ইবাদাত পালন করে নফল নামাজ আদায় করে।
শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয়?
শবে বরাতের এই রাত্রির নামাজ আরো আট দশটা রাত্রিতে পড়া নফল নামাজের মতই। অন্য কোন পদ্ধতি রাসূল (সাঃ) অবলম্বন করেন নি।
আপনারা শবে বরাতের নফল নামাজ পড়ার জন্য সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যে কোন সূরা মিলিয়ে শবে বরাতের নামাজ পড়তে পারেন।
তবে আপনি যদি চান যেমন নিম্নে দেওয়া নিয়মের মতো নামাজ পড়তে পারেন। মনে রাকতে হবে শবে বরাতের নামাজ নফল নামাজ তাই আপনি যত রাকাতই নামাজ আদায় করেন না কেন? আপনাকে দুই রাকাত করে আদায় হবে।
শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয়?
নফল ইবাদাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদত হচ্ছে নামাজ। আর রাতের ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো নামাজ।
শবে বরাতের নফল নামাজ
- ২ রাকাত নফল নামাজ।
- নিয়মঃ প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর, ১ বার আয়াতুল কুরসী এবং ১৫ বার করে সূরা এখলাছ।
- ৮ রকাত নফল নামাজ, দুই রাকাত দুই রাকাত করে পড়তে হবে।
- নিয়মঃ প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর, সূরা এখলাছ ৫ বার করে। একই নিয়মে বাকি সব রাকাত পড়তে হবে।
- ১২ রাকাত নফল নামাজ, দুই রাকাত দুই রাকাত করে।
- নিয়মঃ প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর, ১০ বার সূরা এখলাছ এবং এই নিয়মে বাকি নামায শেষ করে।
- ১৪ রাকাত নফল নামাজ, দুই রাকাত দুই রাকাত করে।
- নিয়মঃ প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর যে কোন একটি সূরা পড়বেন।
শবে বরাতের নামাজ কয় রাকাত কিভাবে পড়তে হয়?
এখন যদি আপনারা দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তাআলার নিকট ক্ষমা চান তা ও আল্লাহ তায়ালা কাছে কবুল হবে।
আবার যদি আপনারা সারা রাত নফল নামাজ কুরআন তিলাওয়াত করে আল্লাহ তায়ালার কাছে কান্নাকাটি করে নিজের অপরাধবোধ উপলব্ধি করতে তাহলে সেটি মহান আল্লাহর কাছে কবুল হবে।
সুতরাং, শবে বরাতের নিদিষ্ট কোনো রাকাত সংখ্যা নেই। আপনারা আপনাদের ইচ্ছা মতো পড়তে পারেন।
আমরা সকলেই জানি ফরজ নফলের চেয়ে বড় মনে রাখতে হবে শবে বরাতের নামাজ যেহেতু নফল সেহেতু নফল পড়তে পড়তে ফরজ পড়া ভুলে গেলে বা ঘুমিয়ে পারলে কিন্তু সবই শেষ।
অর্থাৎ নফল নামাজ পড়ে পড়ে আপনি ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন আর এই দিকে ফজরের নামাজ পড়তে পারলেন না। এমন যেন না হয়।