ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম? জেনে নিন

প্রিয় পাঠক ভাই ও বোনেরা নতুন আরেকটি পোস্টে আপনাদেরকে স্বাগতম। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম?

আমার অনেক সময় সুন্নত নামাজ ছেড়ে নামাজ পড়ে থাকি। কিন্তু ফরজ নামাজ কখনো ছাড়া যাবেনা। ফরজ নামাজ আদায় হবে না।

নামাজ ইসলামের শ্রেষ্ঠ ইবাদত। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে কথা বলা যায়। আল্লাহ তা’য়ালা বারবার কুরআনে একই কথা বলেছেন তোমারা নামাজ আদায় কর।

ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম?

মুসলমান বান্দার জন্য আল্লাহর দেওয়া সেরা উপহার হচ্ছে নামাজ। নামাজের মাধ্যমে আমরা যাই চাই না কেন আল্লাহর কাছে আল্লাহ আমাদের সকল চাওয়া পূরণ করেন।

দিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজেই ফরজ নামাজ রয়েছে যেমন ফজরের নামাজে ফরজ দুই রাকাত, জোহরের নামাজে ফরজ চার রাকাত, আসরের নামাজে ফরজ চার রাকাত, মাগরিবের নামাজে ফরজ তিন রাকাত, এশার নামাজে ফরজ চার।

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ। আমাদের উচিৎ ভালোভাবে নামাজ সম্পর্কে জেনে নামাজ আদায় করা।

ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম?

ফরজ চার রাকাত নামাজ পড়ার নিয়ম

আপনি যদি চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ পড়ে নিতে চান, তাহলে আসরের চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ম নিম্নে দেওয়া হল:

আসরের চার রাকাত ফরজ নামাজঃ যদি আপনি আসরের চার রাকাত ফরজ নামাজ পড়তে চান, তাহলে আপনাকে ভালো জামা কাপড় পড়ে। আপনার শরীর পাক করে পবিত্র একটি জায়গায় দাঁড়াতে হবে।

যখনই আপনি সালাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাবেন তখন আপনাকে তাকবীরে তাহরীমা আল্লাহু আকবার বলে দুই হাত কাঁধ বরাবর উঠিয়ে নাভি কিংবা বুকের উপরে হাত পেতে নিতে হবে।

এবং আপনাকে জায়নামাজের দোয়া পড়ে নিতে হবে আপনাকে মনে রাখতে হবে। আপনি যদি ফরজ নামাজ জামায়াতের সাথে পড়েন, তাহলে আপনাকে শুধুমাত্র ইমাম সাহেবের তেলাওয়াত শুনতে হবে।

কিন্তু আপনি যদি বাসা কিংবা বাড়িতে একা একা ফরজ নামাজ আদায় করেন তাহলে আপনাকে প্রথমে সুরা ফাতিহা সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে তেলাওয়াত করতে হবে।

যখন আপনি সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা শেষ করে নেবেন তখন আপনাকে রুকুতে যেতে হবে। রুকুতে চলে যাওয়ার পর আপনাকে রুকুর তাসবিহ পড়ে নিতে হবে।

রুকুর তাসবিহ পড়ে নেওয়ার পর আপনাকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। অতঃপর আপনাকে সেজদায় যেতে হবে। সেজদায় চলে যাওয়ার পর আপনাকে সেজদার তাসবীহ পড়ে নিতে হবে।

অতঃপর আপনাকে সোজা হয়ে বসে পূর্ণরায় সেজদায় যেতে হবে। যখনই আপনি দুই সেজদা সফলভাবে দিয়ে দেবেন তখন আপনাকে হয়ে দাঁড়াতে হবে।

এবং তারপরে আপনাকে আবার সূরা ফাতিহা পাঠ করে তার সাথে অন্য আরেকটি সূরা মিলিয়ে তেলাওয়াত করতে হবে। তারপর আপনাকে যথারীতিভাবে রুকু সিজদা করতে হবে।

রুকু এবং সেজদা করার পর এখন আপনি দুইটি সেজদা শেষ করে ফেলবে তখন আপনাকে না দাঁড়িয়ে বসে তাশাহুদ পড়তে হবে।

তাশাহুদ যখন আপনি পড়ে নেবেন তখন আপনাকে পুনরায় দাঁড়াতে হবে। এবং আপনাকে তৃতীয় রাকাতে শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা পড়ে পুনরায় রুকু সিজদা করে দাঁড়াতে হবে।

একইভাবে চতুর্থ রাখাতেও আপনি শুধুমাত্র সূরা ফাতিহা পাঠ করবেন পাঠ করার পর যখন আপনি চতুর্থ বৈঠকে চলে যাবেন তখন আপনাকে না দাঁড়িয়ে বসে পড়তে হবে। তারপরের শেষ বৈঠকে, তাশাহুদ, দুরুদে ইব্রাহিম, দোয়া মাসুর পড়ার পরে ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে নিতে হবে।

মোট কথা হল চার রাকাত যত ফরজ নামাজ রয়েছে সেগুলো আপনাকে ওই একই নিয়মে পড়তে হবে।

দুই রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ

চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতের মত করে আপনাকে দুই রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ পড়তে হবে।

শুধুমাত্র পার্থক্য হল দুই রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজে আপনি দুই রাকাত নামাজ শেষ বৈঠকে, তাশাহুদ, দুরুদে ইব্রাহিম, দোয়া মাসুরা পড়ে ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে দুই রাকাত বিশিষ্ট নামায শেষ করতে হবে।

তিন রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ

তিন রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজে আপনাকে চার রাকাত ফরজ নামাজের মত প্রথম দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে। তারপর আপনাকে দাঁড়িয়ে তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করে রুকু সেজদায় চলে যেতে হবে। রুকু সেজদা শেষ হয়ে গেলে আপনাকে বসে শেষ বৈঠক, তাশাহুদ দুরুদে ইব্রাহিম, দোয়া মাসুরা পরে ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে তিন রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ শেষ করতে হবে।

অতঃপর আল্লাহর কাছে একটাই চাওয়া, আল্লাহ যেন প্রতিটা মুসলিম উম্মাহকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের তৌফিক দান করেন।

(আমিন)