তওবার নামাজ জেনে নিন

যদি কেউ গোনাহ করে, অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে নামাজের মাধ্যমে তাকে বলা হয় তওবার নামাজ। তওবার নামাজ?

প্রত্যেক মুসলমানের গুনাহ সংঘটিত হওয়া সঙ্গে সঙ্গে তওবার নামাজ পড়া উচিৎ। বিগত জীবনের গুনাহ থেকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য তওবার নামাজ পড়তে হয়।

বিজ্ঞ আলেমদের মতে, “তওবার নামাজ  পড়া মোস্তাহাব”। তওবার নামাজের ফজিলত বিভিন্ন হাদিসে আলোচনা করা হয়েছে এবং বিভিন্ন সাহাবীগণ তাওবার নামাজ পড়েছেন।

তওবার নামাজ

প্রিয় রাসুল (সাঃ)- বলেছেন “যখন কোনো বান্দা কোনো ধরনের গুনাহ করে উত্তমরূপে অজু করে, দাঁড়িয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে এবং আল্লাহর কাছে গোনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন”।

তওবার নামাজের সময়সীমা

তিনটি মুহূর্ত আসার আগ পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা তওবা কবুল করেন। কিন্তু এই তিনটি সময় তওবা কবুল হবে না।

এই তিনটি সময় হলো

  • মৃত্যু আসার আগ পর্যন্ত।
  • আজাব চলে আসার আগ পর্যন্ত।
  • পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয় হওয়ার আগ পর্যন্ত।

তওবার নামাজের নিয়ম

প্রথমে অজু করতে হবে তারপর তওবাকারী কে একগ্রচিত্তে নফল নামাজের মত করে দুই রাকাত নামাজ পড়তে হবে।

তওবার নামাজ জন্য নির্দিষ্ট কোন সূরা বা আয়াত নেই। হাদিসে এসেছে রাসূল (সাঃ) বলেছেন ” যে ব্যক্তি আমার মত অজু করবে, তারপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে এবং মাঝখানে দুনিয়ার কোন খেয়াল করবে না তার আগের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (সহিহ বোখাবি: ১৫৯)

নামাজ শেষ হলে তারা আল্লাহর তাসবিহ পড়বে, আল্লাহর প্রশংসা করবে এবং ইস্তেগফার পরে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে।

তওবার নামাজ

 

দোয়াঃ “আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খলাকতানি, ওয়া আনা আবদুকা, ওয়া আনা আলা আহদিকা, ওয়া ওয়া‘দিক মাসতাতা‘তু, আউজুবিকা মিন শাররি মা সানা‘তু, আবু-উ লাকা বিনি‘মাতিকা আলাইয়া ওয়া আবু-উ বিজাম্বি ফাগফিরলি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা”।

যার অর্থ হলো: হে আল্লাহ, “আপনি আমার রব, আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। আমাকে আপনি সৃষ্টি করেছেন, আমি আপনার বান্দা। আমি যথাসাধ্য আপনার সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতির ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকব। আমি আমার নিকৃষ্ট আমল থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই, আপনার যে অসংখ্য নেয়ামত ভোগ করছি এ জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। আমি আমার কৃত অপরাধ স্বীকার করছি। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ছাড়া অপরাধ ক্ষমা করার কেউ নেই”।

তওবার নামাজের দোয়া যে আপনাকে জানতে হবে তা নয়। আপনি আপনার নিজের ভাষায় মহান আল্লাহ তায়ালা কাছে কান্নাকাটি করে নিজের ভুল স্বীকার করে তওবা করলেই ইনশাআল্লাহ, মহান আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দেবেন।

আমাদের উচিৎ, কখনও কোনো গোনাহ সংঘটিত হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব মহান আল্লাহর কাছে তওবা করা। নিজের ভুল স্বীকার করা।