ঈমান আনার পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আমল হল নামাজ। নামাজ সকল ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদত। পবিত্র কুরআন শরীফে প্রায় শতবার নামাজের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। নামাজ না পড়ার শাস্তি?
নামাজ হলো প্রত্যেক মুসলমানদের অবশ্যকীয় বিধান। মুসলমান মাত্রই আপনাকে প্রতিদিন দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে।
নামাজ আপনাকে যে কোনভাবেই পালন করতে হবে যেমন দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে যে কোন ভাবেই নামাজ যে অবস্থায় আপনি পারেন আপনার পক্ষে যে অবস্থায় সম্ভব সে অবস্থায় নামাজ আদায় করতে হবে।
নামাজ না পড়ার শাস্তি?
একজন মুসলিম ঘরে-বাইরে, পথে-ঘাটে, রাস্তায়, দেশে-বিদেশে, সাগরে মহাসাগরে যে অবস্থায় থাকেন না কেন তাকে নামাজ আদায় করতে হবে। কোন অবস্থায় একজন মুসলিমের নামাজ ছাড় দেওয়া যাবে না।
মহান আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন-” নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অবশ্য কর্তব্য”
নামাজ না পড়লে কঠিন শাস্তি বিধান
পরকালের জাহান্নামে যাওয়ার প্রথম কারণ হচ্ছে নামাজ না পড়া। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে “জাহান্নামীদের জিজ্ঞেস করা হবে তোমাদেরকে কোন জিনিসের জন্য জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়েছে” তারা বলবে আমরা নামাজ আদায়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না।
জাহান্নামের শাস্তি: বেনামাজিদের কিয়ামতের দিন জাহান্নামের গভীর করতে নিক্ষেপ করা হবে। শুধু পরকালীন শাস্তি নয় নামাজ না পড়লে ইহকালের জীবনে ও বরকত শূন্য হয়ে যায়।
নামাজ না পড়ার শাস্তি?
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তির আসরের সালাত কাজা হয় তার পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ সবই যেন ধ্বংস হয়ে যায়।
নামাজ দিনের গুরুত্বপূর্ণ বিধান যে নামাজ পড়ে না আর ঈমান খুবই দুর্বল। নামাজ না পড়াকে মহানবী (সাঃ) কুফরী কাজ ও কাফিরের স্বভাব বলে উচ্চারণ করেছেন। এক হাদীসে এসেছে যার ভেতরে নামাজ নেই তার ভেতরে দিনের কোন হিস্যা নেই।
নামাজের মাধ্যমে মুমিন ও কাফের মাঝে পার্থক্য বুঝা যায়। জাবির রাদিয়াল্লাহু বলেন, নবীজি (সাঃ) বলতে শুনেছি বান্দা এবং শিরক ও কুফুরের মধ্যে পার্থক্য হল নামাজ।
নামাজ হলো পরকালে মুক্তির অন্যতম উপায়। মহানবী (সাঃ) আরো বলেছেন, আমাদের ও কাফিদের মধ্যে যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তাহলে নামাজ। সুতরাং যে ব্যক্তি নামাজ ছেড়ে দেয় সে কুফরি কাজ করে।
নামাজের মাধ্যমে পরকালের মুক্তির উপায়: নামাজ পড়া কত বড় সৌভাগ্যের বিষয় এবং নামাজ না পড়া কত বড় দুর্ভাগ্যের বিষয়। হাদিসে এসেছে রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যত্নের সঙ্গে আদায় করবে কেয়ামতের দিনে নামাজ তার জন্য আলো হবে, তার ঈমান ও ইসলামের দলিল হবে নামাজ”।
আর যে ব্যক্তি গুরুত্বের সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে না কিয়ামতের বিভীষিকতা ময় পরিস্থিতিতে নামাজ তার কোন কাজে আসবে না, যে আজাব থেকে মুক্তি ও পাবে না।
নামাজ না পড়লে মুসলমান ও কাফেরদের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না। মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের তৌফিক দান করুন।
(আমিন)