দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আমাদের উপর ফরজ। তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পরও প্রিয় রাসূল (সাঃ) আরো নানান ধরনের নফল নামাজ আদায় করতেন। নফল নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত?
আজ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে দিয়ে এসেছি নফল নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কিনা জানেন না কিভাবে নফল নামাজ পড়তে হয়।
নফল নামাজ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য নিয়ে আজ আমরা হাজির হয়েছি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।
নফল নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত
প্রত্যেক মুসলমানকে প্রথমে ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে। যদি কেউ ফরজ নামাজ আদায় না করে নফল নামাজ আদায় করে তাহলে তার নামাজ গ্রহণযোগ্য হবে না।
কারণ আল্লাহ তায়ালা পবিত্র আল কুরআন এ প্রায় শতবার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের কথা তুলে ধরেছেন। আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কে এত গুরুত্ব সহকারে বলেছেন যে যদি কেউ দাঁড়িয়ে নামাজ না পড়তে পারে তাহলে সে বসে নামাজ পড়বে আর যদি বসে নামাজ পড়তেও সক্ষম না হয় তাহলে সে শুয়ে নামাজ আদায় করবে।
তাই আমাদেরকে প্রথমে ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে তারপর নফল নামাজ আদায় করতে হবে।
নফল নামাজ কিভাবে পড়তে হয় আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সহজ ভাষায় তুলে ধরেছি। অন্যান্য নফল ইবাদতের মত নফল নামাজও হচ্ছে ঐচ্ছিক।
নফল নামাজ কাকে বলে?
নফল নামাজ বলতে এমন নামাজকে বুঝানো হয়েছে, যা আদায় করলে প্রচুর সাওয়াব পাওয়া যায় আর আদায় না করলে কোন গুনাহ নেই।
নফল নামাজ পড়তে হয় দুই রাকাত দুই রাকাত করে। আপনার যত রাকাত ইচ্ছা আপনি তত রাকাত পড়তে পারে।
নফল নামাজ: দুই রাকাত দুই রাকাত করে। চার রাকাত, আট রাকাত, ১২ রাকাত কিংবা তার থেকে বেশিও পড়া যায়।
নফল নামাজ পড়ার নিয়ম ও নিয়ত
নফল নামাজ সাধারণত দুই রাকাত পড়তে হয়। নফল নামাজের নির্দিষ্ট কোন সময় নেই, তবে নিষিদ্ধ সময় ব্যতীত যে কোন সময় নফল নামাজ আদায় করা যায়।
নফল নামাজ অন্যান্য নামাজের মতনই করে পড়তে হয়। যেমন প্রথমে আপনি অজু করে পবিত্র হয়ে নামাজের জন্য দাঁড়াবেন। তারপর আপনাকে নিয়ত করতে হবে দুই রাকাত নফল নামাজের।
নামাজের নিয়ত যে আপনাকে মুখে উচ্চারণ করতে হবে তা বাধ্যতামূলক নয়। মনে মনে নিয়ত করলেও হবে।
তারপর আপনাকে “আল্লাহু আকবার” বলে কাঁধ বরাবর হাত উঠিয়ে ছেলেরা নাভির নিচে এবং মেয়েরা বুকের উপরে হাত বাঁধবে।
তারপর আপনাদেরকে সানা পড়তে হবে সানা পড়া শেষে সূরা ফাতিহা তেলাওয়াত করার পর তার সাথে অন্য যেকোনো একটি সূরা মিলিয়ে তেলাওয়াত করতে হবে।
তেলাওয়াত শেষ হলে রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবিহ তিনবার পড়তে হবে। অতঃপর আপনাকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। তারপর আপনাকে সিজদায় যেতে হবে। সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবিহ পড়তে হবে তিনবার।
আপনি যদি সক্ষমভাবে দুইটি সিজদা আদায় করে ফেলেন আপনাকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। আবার আপনাকে সূরা ফাতিহা পাঠ করে তার সাথে অন্য একটি সূরা তেলাওয়াত করে যথারীতি রুকু সেজদা করে না দাঁড়িয়ে বসে।
তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া-মাসুরা পড়ে ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।